আজ ভোর ৫:৪২ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর অঞ্চলে হালকা মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৭, যা যদিও ক্ষয়ক্ষতির কারণ নয়, তবুও স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ।
ভূমিকম্পের বিস্তারিত তথ্য
সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দুর্গাপুর থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। গভীরতা ছিল প্রায় ১২ কিলোমিটার। এই কম্পন ৩ থেকে ৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা
দুর্গাপুরের গেট বাজার এলাকার এক বাসিন্দা জানান,
“ভোরে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি বিছানা কাঁপছে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবার নিয়ে নিচে নেমে আসি। এমনটা অনেকদিন পর অনুভব করলাম।”
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আপাতত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই।
তবে মানুষের নিরাপত্তা ও সচেতনতার জন্য প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে। সকলকে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার অনুরোধ করা হয়েছে।
পূর্বের ভূমিকম্প সংক্রান্ত রেকর্ড
গত এক বছরে দুর্গাপুর অঞ্চলে এটি ছিল তৃতীয় ভূকম্পন। যদিও সবগুলিই ছিল হালকা মাত্রার, তবে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন –
“এটি বৃহৎ কোনও ভূমিকম্পের পূর্বাভাস না হলেও, অঞ্চলটিকে ‘সামান্য ঝুঁকিপূর্ণ’ বলা যায়।”
পরামর্শ সাধারণ মানুষের জন্য
- অফিস বা স্কুলে থাকলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলুন।
- ভূমিকম্পের সময় ভবনের বাইরে না গিয়ে মাথা ও গা রক্ষা করার চেষ্টা করুন।
- যদি সম্ভব হয়, শক্ত কাঠের নিচে আশ্রয় নিন।
- বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিন।
সংক্ষেপে
- প্রশাসনের পরামর্শ: আতঙ্ক নয়, সচেতন হোন
- ভূমিকম্পের মাত্রা: ৩.৭ রিখটার স্কেল
- স্থায়িত্ব: ৩–৫ সেকেন্ড
- উৎপত্তি কেন্দ্র: দুর্গাপুরের কাছে
- ক্ষয়ক্ষতির খবর: নেই
সচরাচর জিজ্ঞাস্য
ভূমিকম্প কোথায় অনুভূত হয়েছে?
দুর্গাপুর সহ আশেপাশের কিছু এলাকায়।
কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি?
এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো রিপোর্ট নেই।
এটা কি বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস?
না, তবে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ কীভাবে সতর্ক থাকতে পারে?
ঘরোয়া প্রস্তুতি, সরকারি নির্দেশ মেনে চলা ও ভূমিকম্প সচেতনতামূলক অনুশীলন।
এর আগেও কি ভূমিকম্প হয়েছিল?
গত এক বছরে দুর্গাপুর অঞ্চলে আরও দুইবার হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছে।